বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশের জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা হিসাবে কাজ করছে । উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়, বোদা, পঞ্চগড় এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট-এ স্বাগতম। এই ওয়েবসাইট-টি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বর্তমান কার্যাবলী এবং তথ্য সংরক্ষণের একটি প্রদর্শনী স্থান। আপনার কাঙ্খিত তথ্য খুঁজে পেতে পৃষ্ঠা ও লিঙ্ক গুলির মাধ্যমে ব্রাউজ করুন। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের পর বাংলাদেশে সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নয়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব উপলব্ধি করে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদুরপ্রসারী চিন্তাধারার ফলশ্রুতিতে ও তাঁর দিক-নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে আগষ্ট মাসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ৪টি পরিসংখ্যান অফিস (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিসংখ্যান ব্যুরো, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি পরিসংখ্যান ব্যুরো ও কৃষি শুমারি কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন আদমশুমারি কমিশন)-কে একীভূত করে সৃষ্টি করা হয় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো !
এক নজরে টুংগীপাড়া উপজেলাঃ
গোপালগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ২২.৯০০০০উত্তরঅক্ষাংশএবং ৮৯.৮৮৩৩০পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত ১২৭.২৫ বর্গ কিঃ মিঃ আয়তন বিশিষ্ট একটি উপজেলা।
সাধারণ তথ্যাবলীঃ
১।ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা |
: |
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সমাধি সৌধ। |
২। জনসংখ্যা (আদমশুমারী-২০১১) |
: |
৯৯,৭০৫ জন |
পুরুষ |
: |
৫০,৬৯০ জন |
মহিলা |
: |
৪৯,০১৫ জন |
৩। আবাদী জমি |
: |
১০,০৭৬ হেক্টর |
এক ফসলী |
: |
৪৩৫০ হেক্টর |
দুই ফসলী |
: |
৩৮০৫ হেক্টর |
তিন ফসলী |
: |
১৯২১ হেক্টর |
৪। মোট পরিবার |
: |
২০,৭৬৩ টি |
৫।পৌরসভা (টুংগীপাড়া পৌরসভা) |
: |
০১ টি |
৬। ইউনিয়ন(কুশলী, বর্ণি, পাটগাতি, ডুমুরিয়া ও গোপালপুর) |
: |
০৫ টি
|
৭। গ্রাম |
: |
৬৯ টি |
৮। ইউনিয়ন ভূমি অফিস |
: |
০৩ টি |
৯। মৌজা |
: |
৩৩ টি |
১০। কলেজ |
: |
০২ টি |
সরকারী |
: |
০১ টি |
বেসরকারী |
: |
০১ টি |
১১। স্কুল এন্ড কলেজ |
: |
০১ টি |
১২। মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
: |
১৫ টি |
সরকারী |
: |
০১ টি |
বেসরকারী |
: |
১৪ টি |
১৩। নিমণ মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
: |
০২ টি |
১৪। মাদ্রাসা |
: |
০৩ টি |
ফাজিল মাদ্রাসা |
: |
০২ টি |
এবতেদায়ী মাদ্রাসা |
: |
০১টি |
|
|
|
১৫। প্রাথমিক বিদ্যালয় |
: |
৭৬টি |
সরকারী |
: |
৪২ টি |
রেজিস্টার্ড |
: |
৩৪টি |
১৬। হাসপাতাল |
: |
০২টি |
১৭ কমিউনিটি ক্লিনিক |
: |
০৭ টি |
১৮। এল এস ডি খাদ্য গুদাম |
: |
০১ টি |
১৯। মসজিদ |
: |
১৯৫ টি |
২০। মন্দির |
: |
১০৫ টি |
২১। পর্যটন মোটেল |
: |
০১ টি |
২২। ভি আই পি রেষ্ট হাউস |
: |
০১ টি |
২৩। ডাকবাংলো |
: |
০১ টি |
২৪। অডিটরিয়াম |
: |
০১ টি |
২৫। ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন |
: |
০১ টি |
২৬। বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান |
: |
শেখ রাসেল দুঃস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পূর্ণবাসন কেন্দ্র |
|
|
শহীদ শেখ জামাল যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র |
|
|
বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ গবেষনা ইনস্টিটিউট |
|
|
|
২৭। সড়ক |
: |
৩০২ কিঃ মিঃ (১১০ টি রাস্তা) |
পাঁকা |
: |
১৮২ কিঃ মিঃ |
কাঁচা |
: |
১২০ কিঃ মিঃ |
উপজেলা কৃষি অফিসের ২০১২ সালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ীঃ | ||
খানা | : | ১৭,৬১৩ (কৃষক পরিবার) |
ফসলের নিবিড়তা | : | ১৭৫.৮৯% |
কৃষি পরিবেশ অঞ্চল | : | ১২, ১৪ |
নৌ-বন্দর সমূহ | : |
ক) পাটগাতী, খ) বাঁশবাড়ীয়া, গ) তারাইল, ঘ)ডুমরিয়া (বিলুপ্ত) বন্দরগুলো হতে ঢাকা,খুলনাসহ বরিশাল,পিরোজপুর, নাজিরপুর, বাগেরহাট, বানারীপাড়া কোটালীপাড়া ইত্যাদি স্থানে নৌ-যান চলাচল করে থাকে। |
প্রধান প্রধান রপ্তানী জাত পন্য | : |
ধান,পাট, হোগলা, বাঁশ, সবজি (পানি কচু, ওলকপি, উচ্ছে, চালকুমড়া, কদু (লাউ), মিষ্টিকুমড়া, শাপলা মৎস্য- দেশীয় প্রজাতির সরপুটি মাছ, শিং মাছ, মাগুর মাছ, কৈ মাছ, বেলে মাছ, সোল মাছ, টাকি মাছ, গলদা চিংগী এছাড়া রুই, কাতলা, মৃগেলসহ কার্প জাতীয় সকল প্রকার মাছ। |
উপজেলার পটভূমি, ইতিহাস ও সংস্কৃতি :
লালসবুজের দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। এ দেশেরই দক্ষিণভাগে এক সময়ের স্রোতস্বিনী মধুমতির কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে উপজেলা টুংগীপাড়া। যার বুক জুড়ে রয়েছে কাকেরচক্ষু মাজা স্বচ্ছ জলের ধারা বাঘিয়া নদী, রয়েছে মাছে-ভাতে বাঙালির হরেকরকম মাছের আধার বর্ণি বাওড়। আরো আছে নানা রকম ফসল উৎপাদনের জন্য বিস্তীর্ণবিল ও চরাঞ্চল। তবে সবকিছু ছাপিয়ে রয়েছে দুটি সুগগ্ধি গোলাপ-যার একটিরাজনৈতিক অন্যটি ধার্মিক।
একটিপৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মাত্র ১২৭.২৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনেরটুংগীপাড়া উপজেলার নাম করণে রয়েছে অভিনবত্ব- শোনা যায় পারস্য এলাকা থেকেআগত কতিপয় মুসলিম সাধক অত্র এলাকার প্লাবিত অঞ্চলে টং বেঁধে বসবাস করতেথাকেনএবং কালক্রমেঐ টং থেকেই নাম হয় টুংগীপাড়া। টুংগীপাড়া উপজেলার উত্তরে রয়েছে গোপালগঞ্জজেলা সদর,দক্ষিণে ও পশ্চিমে মায়াবতী মধুমতি। মধুমতির অপর পাড়ে রয়েছেধর্মীয় সাধক পুরুষ মরহুম খানজাহান আলী (রাঃ)এর পূণ্য ভূমি বাগেরহাট জেলারচিতলমারী ও মোল্লারহাট উপজেলা। আর পূর্বে রয়েছে কিশোর কবি সুকান্তভট্টাচার্যের আদি তীর্থ ভূমি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলা। আয়তনেছোট এবং নামে অভিনবত্ব থাকলেও বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে টুংগীপাড়ায়রয়েছে গৌরবদীপ্ত ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
এলাকারমানুষের প্রধান উপজীবিকা কৃষি। তবে চাকুরীজীবি ও ব্যবসায়ীর সংখ্যাওনিতান্ত কম নয়। তবে সাধারণ ভাবে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ততটা ভাল নয়।কারণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বরাবরই টূংগীপাড়া অবহেলিত। ফলে এখানেমানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা তেমন জোরালো ভাবে বা দৃঢ়ভাবে গড়ে উঠেনি।